
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম _স্টাফ রিপোর্টার //খুলনায় নতুন নির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম ধাপে বন্দী স্থানান্তরের কার্যক্রম আগামী শনিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১০০ জন বন্দীকে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) খুলনা কারাগারের জেলার মুনির হোসেন বলেন, নতুন কারাগারে বন্দী স্থানান্তরের মাধ্যমে পুরনো কারাগারের অতিরিক্ত চাপ অনেকটাই কমে যাবে।বর্তমানে পুরনো কারাগারে ১ হাজার ৪০০ এর বেশি বন্দী রয়েছে, যা ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি।নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের পর মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দীরা পুরনো কারাগারে এবং জেলা এলাকার বন্দীরা নতুন কারাগারে রাখা হবে।রূপসা বাইপাস সড়কের জয়বাংলা মোড় সংলগ্ন প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নির্মিত নতুন কারাগারটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দী ধারণ করতে সক্ষম।প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২ হাজার বন্দীকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।শুরুতে বাজেট ধরা হয়েছিল ১৪৪ কোটি টাকা, তবে পরবর্তীতে বিলম্ব ও প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৮৮ কোটি টাকায়।২০১৬ সালের জুনে নির্মাণকাজ শুরু হলেও করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় একাধিকবার সময়সীমা বাড়ানো হয়।নতুন কারাগারে পুরুষ, নারী, কিশোর ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য আলাদা ব্যারাক, ৫০ শয্যার হাসপাতাল, বন্দীর সন্তানদের জন্য স্কুল ও ডে কেয়ার, মোটিভেশন সেন্টার, হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ শেড এবং বিনোদন– সাংস্কৃতিক সুবিধা থাকছে।সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার রশিদুল ইসলাম জানান, মোট ৫২টি কাঠামো নির্মিত হয়েছে, তবে কিছু কাজ এখনও চলমান।বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি।কারা কর্মকর্তারা আশা করছেন, আধুনিক এই কারাগার খুলনায় বন্দী ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা করব যেখানে নিরাপত্তার পাশাপাশি বন্দীদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
