খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  খেলাফত যুব মজলিস খুলনা জেলা শাখা পুনর্গঠন সম্পন্ন
  খুলনায় বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা ভুট্টো গ্রেপ্তার
  জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে-সকল ধর্মের মানুষ তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে
  শুটিংয়ে গিয়ে আহত বলিউড স্টার সালমান খান
  যশোরে প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীকে অফিসে ডেকে ধ/র্ষ/ণের অভিযোগ
  সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় আলী আসগার লবি
  দাকোপে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পালন করছে কারিগররা 
  রূপসায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় নেতা. আজিজুল বারী হেলাল
  যশোর-৬ কেশবপুর আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

ডুমুরিয়ায় চালের দাম কমলেও স্বস্তি ফেরেনি সবজি-পেঁয়াজ

[ccfic]

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা : খুলনার ডুমুরিয়ায় বেশ কয়েকমাস পর বাজারে চালের দাম সামান্য নিম্নমুখী। মূলত ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।অন্যদিকে, চড়া সবজি, মাছ ও পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমলেও স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও এখনো প্রায় বেশিরভাগ সবজি কিনতে গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। যা আগে আরও বেশি ছিল। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও নানা ধরনের মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে।গতকাল শুক্রবার সকালে ডুমুরিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে এখন সরু নাজিরশাইল ও মোটা কয়েক পদের চাল আমদানি হচ্ছে। ওসব চালের দাম কমেছে। তবে আগের মতোই রয়েছে জনপ্রিয় মিনিকেট চালের দাম।এখন বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায়, যা আগে ৯০-৯২ টাকা ছিল। অন্যদিকে, মোটা পায়জাম ও স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রিহচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, যা কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ডুমুরিয়া বাজারে ব্যাবসায়ী অশো কুমার বলেন, ভারত থেকে প্রচুর চাল আসছে, তাই দাম কমছে। তবে দেশি যেগুলো মিনিকেট আছে, সেগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমতে পারে। চুকনগর বাজারে চাল বিক্রেতা মোতাহার হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মোকামে চালের দাম প্রতি বস্তায় (২৫ কেজি) ১০০ থেকে ১২০ টাকা কমেছে। এখন প্রতি বস্তা নাজিরের দাম ২০০০ টাকার মধ্যে এসেছে, যা আগে ২২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে বাজারে প্রচলিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দামই একই আছে। আবার পুরোনো কোনো চালের দামও এখনো কমেনি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর বাজারে চালের দাম কমছে।বছরের শুরুতে চালের দাম বেড়েছিল, এরপর প্রায় চড়া ছিল বাজার। অন্যদিকে, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজিরবাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনো স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। এখনো প্রায় প্রতিটি সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির দাম গত কয়েক সপ্তাহ ৮০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।ওইসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙ্গা কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে পেঁপে ৪০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে।তবে বাজারের পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হলে এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও অন্তত ৫ টাকা বেশি। এদিকে, মাছের বাজারেও বেশ চড়াভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। এতে নদীর কিছু মাছের দাম বেড়েছে।বাজারে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম চড়া। প্রতি ৭০০ গ্রামের একহালি ইলিশ ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস দুই থেকে তিন হাজার টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ৪০০-৫০০ গ্রামের মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, দাম বেড়ে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।এছাড়া, কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩৫০-৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৬০ টাকা ও পাঙ্গাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, বাজারে এখন মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।

আরও সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnarsamayerkhobor .com

Developed By: ShimantoIT